বাংলা একাডেমি দীর্ঘদিনের চেষ্টায় ১৪২৬ বঙ্গাব্দে প্রথমবারের মতো আশ্বিন মাসের গণনা শুরু হয় ৩১ দিন হিসেবে। ১৬ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখে বাংলা বর্ষপঞ্জির এ সংস্কার করে। বাংলা বর্ষপঞ্জি বদলে গেছে
বাঙালি জাতির ইতিহাসের গৌরবময় দিনগুলো বাংলা ও গ্রেগারিয়ান বর্ষপঞ্জিতে অভিন্ন তারিখে সমন্বয় করতেই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে এ সংস্কার আনা হয়।
বাংলা একাডিমির মহাপরিচালককে অহ্বায়ক করে ২০১৫ সালে পঞ্জিকা সংস্করণ কমিটি গঠন করা হয়।
এ কমিটিই বাংলা ও গ্রেগারিয়ান দিনপঞ্জির সমন্বয় করে।
বাংলা একাডিমির মহাপরিচালককে অহ্বায়ক করে ২০১৫ সালে পঞ্জিকা সংস্করণ কমিটি গঠন করা হয়।
এ কমিটিই বাংলা ও গ্রেগারিয়ান দিনপঞ্জির সমন্বয় করে।
বাংলা বর্ষপঞ্জি বদলে গেছে
২০১৯ সালের সরকারি গ্রেগারিয়ান পঞ্জিকায় ১৪২৫-১৪২৬ সালের নতুন সুপারিশ করা বাংলা সনের তারিখ সমন্বয় করা হয়।
সে অনুযায়ী সরকারি দিন পঞ্জিকায় ১৬ অক্টোবরে ৩১ শে আশ্বিন উল্লেখ করা হয়।
আরা ১৭ ই অক্টোবর ২০১৯ তারিখ থেকে গণনা করা হয় পহেলা কার্তিক।
সে অনুযায়ী সরকারি দিন পঞ্জিকায় ১৬ অক্টোবরে ৩১ শে আশ্বিন উল্লেখ করা হয়।
আরা ১৭ ই অক্টোবর ২০১৯ তারিখ থেকে গণনা করা হয় পহেলা কার্তিক।
আরো পড়ুন: ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি এখন ৫০টি
নতুন বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসারে বৈশাখ, জৈষ্ঠ্য, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন- এ ছয় মাস হবে ৩১ দিনে।
যা এতো দিন বৈশাখ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত পাঁচ মাস গণনা হতো ৩১ দিনে।
কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ ও চৈত্র-এ পাঁচ মাস হবে ৩০ দিনে। এতো দিন আশ্বিণ থেকে চৈত্র- এ সাত মাস হতো ৩০ দিনে।
যা এতো দিন বৈশাখ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত পাঁচ মাস গণনা হতো ৩১ দিনে।
কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ ও চৈত্র-এ পাঁচ মাস হবে ৩০ দিনে। এতো দিন আশ্বিণ থেকে চৈত্র- এ সাত মাস হতো ৩০ দিনে।
অন্যদিকে, ফাল্গুন মাস হবে ২৯ দিনে। তবে, গ্রেগারিয়ান পঞ্জিতে যে বছর অধিবর্ষ (Leap Year) হবে, সে বছর বাংলায় ফাল্গুন মাস ৩০ দিনে হবে।
২০২০ সাল অধিবর্ষ। সুতরাং বাংলা বর্ষপঞ্জিতে ফাল্গুন মাসও ৩০ দিনে হবে।
২০২০ সাল অধিবর্ষ। সুতরাং বাংলা বর্ষপঞ্জিতে ফাল্গুন মাসও ৩০ দিনে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও দুই দফা বাংলা বর্ষপঞ্জি সংস্করণ করা হয়।প্রথম ১৯৫২ সালে জ্যোতিপদার্থবিজ্ঞানী ড. মেঘনাদ সাহার নেতৃত্বে বাংলা বর্ষপঞ্জি সংস্কার করা হয়।
আর দ্বিতীয় দফায় ১৯৬৩ সালে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে এ সংস্কার করা হয়।
মেঘনাদ সাহার সপারিশে বৈশাখ থেকে ভাদ্র ৩১ দিন এবং আশ্বিণ থেকে চৈত্র ৩০ দিন।
আর অধিবর্ষে একদিন যুক্ত হতো চৈত্র মাসে।
আর দ্বিতীয় দফায় ১৯৬৩ সালে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে এ সংস্কার করা হয়।
মেঘনাদ সাহার সপারিশে বৈশাখ থেকে ভাদ্র ৩১ দিন এবং আশ্বিণ থেকে চৈত্র ৩০ দিন।
আর অধিবর্ষে একদিন যুক্ত হতো চৈত্র মাসে।