১৭, অক্টোবর ২০২০, নারায়ণগঞ্জ: সঞ্চয়পত্র সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে এই পর্বটি সাজানো হয়েছে। তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ ব্যাংক।সঞ্চয়পত্র সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর
সঞ্চয়পত্র
১। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রবর্তিত সঞ্চয়পত্রের প্রকল্প সংখ্যা কয়টি ও কি কি ? উঃ ১০টি ; যথা-
(ক) Bangladesh Savings Certificates;
(খ) প্রতিরক্ষা সঞ্চয়পত্র ;
(গ) পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ;
(ঘ) বোনাস সঞ্চয়পত্র ;
(ঙ) তিন বছর মেয়াদী সঞ্চয়পত্র ;
(চ) ছয় মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ;
(ছ) পরিবার সঞ্চয়পত্র ;
(জ) তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ;
(ঝ) জামানত সঞ্চয়পত্র ও
(ঞ) পেনশনার সঞ্চয়পত্র ।
২। বর্তমানে কয়টি সঞ্চয় প্রকল্প চালু রয়েছে ও কি কি ?
উঃ ৪টি। যথা-
(ক) পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ;
(খ) পরিবার সঞ্চয়পত্র ;
(গ) তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও
(ঘ) পেনশনার সঞ্চয়পত্র ।
৩। পরিবার সঞ্চয়পত্র কত বছর মেয়াদী ? উঃ ৫(পাঁচ) বছর ।
৪। তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র কত বছর মেয়াদী ? উঃ ৩(তিন) বছর।
৫। পেনশনার সঞ্চয়পত্র কত বছর মেয়াদী ? উঃ ৫(পাঁচ) বছর।
৬। কোথায় সঞ্চয়পত্র কিনতে পাওয়া যায় ?
উঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল অফিস, সকল বাণিজ্যিক ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের অধীনস্থ সারা দেশে ৭১টি সঞ্চয় ব্যরো অফিস এবং ডাকঘর(Post Office)সমূহে।
৭। সকল প্রকার সঞ্চয়পত্র সবাই(পুরুষ/মহিলা) কিনতে পারেন কি-না ? উঃ না।
৮। কোন প্রকার সঞ্চয়পত্র সকলে কিনতে পারেন ?
উঃ পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ও তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র (শুধমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্রধারী)।
৯। সকল প্রকার সঞ্চয়পত্র কি পুনঃবিনিয়োগ যোগ্য ?
উঃ না, শুধুমাত্র পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র পরবর্তী ১(এক) মেয়াদের জন্য স্বয়ংক্রিয় পুনঃবিনিয়োগযোগ্য।
১০। পরিবার সঞ্চয়পত্র কোন শ্রেণীর জনসাধারণ কিনতে পারেন ?
উঃ ১৮(আঠার) বা তদর্ধ্ব বয়সের যে কোন বাংলাদেশী মহিলা, যে কোন বাংলাদেশী প্রাপ্ত বয়স্ক শারীরিক প্রতিবন্ধী (পুরুষ ও মহিলা) এবং ৬৫(পঁয়ষট্টি) ও তদুর্ধ্ব বয়সের যে কোন বাংলাদেশী পুরুষ শুধুমাত্র একক নামে এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। পরিবার সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও এর কপি সরবরাহ করতে হবে।
১১। পেনশনার সঞ্চয়পত্র কাদের জন্য প্রযোজ্য ?
উঃ অবসরপ্রাপ্ত সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ, সুপ্রীম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত মাননীয় বিচারপতিগণ, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং উল্লিখিত ক্যাটাগরিতে মৃত চাকুরীজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী/স্ত্রী/সন্তানগণ। পেনশনার সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও এর কপি সরবরাহ করতে হবে।
১২। তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক ও পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কাদের জন্য প্রযোজ্য ?
উঃ ১৮ বা তদর্ধ্ব বয়সের সকল শ্রেণী/পেশার বাংলাদেশী নাগরিক(জাতীয় পরিচয়পত্রধারী) একক বা যুগ্ম নামে এ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন।
১৩। সঞ্চয়পত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ করা যায় কি-না ?
উঃ আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪(অংশ-২)-এর বিধি ৪৯-এর উপ-বিধি(২) এবং ৬ষ্ঠ তফসিল এর অনুচ্ছেদ ৩৪ মোতাবেক যথাক্রমে স্বীকৃত ভবিষ্যত তহবিল এবং সংশ্লিষ্ট উপ-কর কমিশনার কর্তৃক প্রত্যয়নকৃত Agro Based প্রতিষ্ঠান( মৎস্য খামার, হাঁস-মুরগীর খামার, পেলিটেড পোলট্রি ফিডস্ উৎপাদন, বীজ উৎপাদন, স্থানীয় উৎপাদিত বীজ বিপণন, গবাদি পশুর খামার, দুগ্ধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের খামার, ব্যাঙ উৎপাদন খামার, উদ্যান খামার প্রকল্প, রেশম গুটিপোকা পালনের খামার, ছত্রাক উৎপাদন এবং ফল ও লতাপাতার চাষ)-এর আয়ের ১০% অর্থ দিয়ে শুধুমাত্র পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র-এ বিনিয়োগযোগ্য । প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে সংশ্লিষ্ট ফান্ডের E-TIN নম্বর ও তার কপি প্রদান বাধ্যতামলক এবং বিনিয়োগের উর্দ্ধসীমা নেই ।
১৪। কিভাবে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়/কিনতে হয় ?
উঃ নগদ টাকা(১.০০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত) এবং চেকের মাধ্যমে { ক্রেতার নিজ হিসাবের চেক এবং প্রদানকৃত চেকের হিসাব নম্বরেই সঞ্চয়পত্রের মনাফা ও আসল Electronic Fund Transfer(EFT)–এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা করা হবে}।
১৫। সঞ্চয়পত্র কিনতে ফরম পূরণ করতে হয় কিনা ?
উঃ হ্যাঁ, বিভিন্ন প্রকার সঞ্চয়পত্রের জন্য নির্দিষ্ট ক্রয় ফরম ও একটি সাধারণ অন-লাইন ফরম(ব্যক্তি/কোম্পানি) পূরণ করতে হয়। পেনশনার সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পুরণকৃত প্রাপ্ত আনুতোষিক ও ভবিষ্য তহবিলের
সনদপত্র এবং PPO(Pension Payment Order)/EPPO(Electronic Pension Payment Order)–এর ফটোকপি প্রদান করতে হয় ।
১৬। সঞ্চয়পত্র ক্রয় ফরমের সাথে কি কি কাগজপত্র প্রদান করতে হয় ?
উঃ ক) ক্রেতা ও নমিনী প্রত্যেকের ০২(দুই) কপি পাসপোর্ট আকারের সত্যায়িত ছবি ( ক্রেতার ছবি ১ম শ্রেনীর কর্মকর্তা কর্তৃক ও নমিনীর ছবি ক্রেতা কর্তৃক সত্যায়িত)।
খ) ক্রেতা ও নমিনীর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি(নমিনী নাবালক হলে তার জন্মনিবন্ধন এবং প্রত্যয়নকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি)
গ) ক্রেতা (গণ)-এর E-TIN সার্টিফিকেটের কপি
ঘ) গ্রাহকের নিজ ব্যাংক হিসাবের MICR চেকের কপি; যে হিসাবে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও আসল EFT-এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা করা হবে।
১৭। কোন প্রকার সঞ্চয়পত্রে কত টাকা বিনিয়োগ করা যায় ? উঃ বিভিন্ন প্রকার সঞ্চয়পত্রের ক্রয়সীমা নিম্নরূপ-
১৮। নাবালক সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারে কি-না ?
উঃ “জাতীয় সঞ্চয়স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম” এ আপাততঃ নাবালক বা নাবালকের পক্ষে প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি সঞ্চয়পত্র
কেনার সুযোগ নেই।
১৯। সঞ্চয়পত্রে কি নমিনী করা যায় ?
উঃ হ্যাঁ, এক বা একাধিক নমিনী মনোনয়ন করা যায়। তবে নমিনী মনোনয়ন বাধ্যতামলক নয়।
২০। সঞ্চয়পত্রে নমিনী করার প্রয়োজনীয়তা কি?
উঃ ভবিষ্যতে নগদায়ন ঝামেলা এড়াতে সঞ্চয়পত্র নীতিমালা মোতাবেক সঞ্চয়পত্র ক্রয়কালে ক্রয় ফরমে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে শতকরা হারে নমিনী মনোনয়ন করা বাঞ্ছনীয়।
২১। নাবালক/নাবালিকাকে নমিনী করা যায় কি ? উঃ হ্যাঁ, করা যায়।
২২। নমিনী না করে সঞ্চয়পত্রের ক্রেতা /মালিক মারা গেলে, কে এগুলো ভাঙ্গাতে/নগদায়ন করতে পারবে ?
উঃ ক্রেতা বা মালিকের মৃত্যুর তিন মাসের মধ্যে কোর্ট হতে Succession Certificate গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে সরকার অনুমোদিত বা প্রদত্ত আইনান ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তি/উত্তরাধিকারী(Successor) এগুলো ভাঙ্গাতে পারবে।
২৩। সঞ্চয়পত্রের মূল মালিক মারা গেলে কে ভাঙ্গাতে পারবে ?
উঃ নমিনী। নমিনী উল্লেখ না থাকলে আইনানুগ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি/ ব্যক্তিবর্গ।
২৪। বিনিয়োগকারী ও নমিনী উভয়ে মারা গেলে কে ভাঙ্গাতে পারবে ?
উঃ Succession Certificate-এর বিপরীতে আইনান উত্তরাধিকারী ভাঙ্গাতে পারবে।
২৫। কোন সঞ্চয়পত্রে কি কি সুবিধা পাওয়া যায় ?
উঃ পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা মাসিক ভিত্তিতে, তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মনাফা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে উত্তোলন করা যায়।
২৬। সঞ্চয়পত্রে মুনাফা কিস্তি সাধারণত কত ধরনের ?
উঃ ১,০০,০০০/=(এক লক্ষ) টাকার উপর উৎসে কর কর্তনের পর অর্থাৎ নীট প্রাপ্য মাসিক ও ত্রৈমাসিক কিস্তি মনাফার পরিমাণ
(সরকারী নির্দেশে উৎসে কর প্রদানের হার পরিবর্তিত হলে কিস্তির পরিমাণ পরিবর্তন হতে পারে) নিম্নরূপ-
উঃ প্রচলিত সঞ্চয়পত্র সমহের বর্তমানে (২৩/০৫/২০১৫ ইং থেকে) মুনাফার হার নিম্নরূপ: (সরকারী আদেশে যে কোন সময় পরিবর্তিত হতে পারে)
২৮। সঞ্চয়পত্র কোথায় ভাঙ্গানো/নগদায়ন করা যায় ?
উঃ বর্তমানে ক্রয়কৃত সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও আসল মেয়াদপূর্তিতে গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে EFT-এর মাধ্যমে জমা করা হচ্ছে। মেয়াদপূর্তির পূর্বে সঞ্চয়পত্র নগদায়নের প্রয়োজন হলে যে অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা হয়, সেখানে ক্রেতাকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সাথে ক্রেতার ০১(এক) কপি পাসপোর্ট ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও সিস্টেম হতে সরবরাহকৃত সঞ্চয়পত্রের মূল কপি সরবরাহ করতে হয়।
২৯। সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও আসল নগদে উত্তোলন করা যায় কি ?
উঃ না। ১/৭/২০১৯ তারিখ হতে সঞ্চয়পত্রের মেয়াদপূর্তিতে মুনাফা ও আসল গ্রাহকের নিজ ব্যাংক হিসাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে EFT-এর মাধ্যমে জমা করা হচ্ছে।
৩০। সঞ্চয়পত্র কখন ভাঙ্গালে মুনাফা পাওয়া যায় না ?
উঃ সকল প্রকার সঞ্চয়পত্রে ১ বছর পূর্তির পূর্বে নগদায়ন/ভাঙ্গালে কোন মুনাফা পাওয়া যায় না।
৩১। মেয়াদপর্তির পূর্বে সঞ্চয়পত্র ভাঙ্গালে কিভাবে তা সমন্বয় করা হবে ?
উঃ ১.০০ লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করে মেয়াদ পর্তির পূর্বে নগদায়ন/ভাঙ্গালে নিম্নরূপ হিসাবায়ন পদ্ধতিতে সমন্বয় করা হবেঃ-
(ক) পরিবার সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে:
(খ) তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রেঃ
আরো পড়ুন: জেনে নিন সঞ্চয়পত্র সুদ না মুনাফা
৩২। সঞ্চয়পত্রের মুনাফার উপর উৎসে আয়কর কর্তন করা হয় কি-না ?
উঃ ক্রয়কৃত সকল সঞ্চয়পত্রের মুনাফা প্রদান কালে নির্ধারিত হারে (মুনাফা থেকে) উৎসে আয়কর কর্তন করা হয়। (সময়ে সময়ে জারীকৃত সরকারী নির্দেশনানুযায়ী)। তবে পেনশনার সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমান ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা অতিক্রয় না করলে প্রাপ্য মুনাফা হতে উৎসে আয়কর কর্তন প্রযোজ্য হবে না এবং ৫.০০ লক্ষ টাকার অতিরিক্ত সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা হলে সম্পূর্ণ ক্রয়ের বিপরীতে প্রাপ্য মুনাফা হতে নির্ধারিত হারে উৎসে আয়কর কর্তন করা হবে।
সঞ্চয়পত্র সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর
৩৩। সঞ্চয়পত্র স্থানান্তর (Transfer) করা যায় কিনা ?
উঃ হ্যাঁ, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখের পূর্বে ক্রয়কৃত সঞ্চয়পত্র ইস্যু অফিসের শাখাসমূহে রেজিস্ট্রেশন স্থানান্তর করা যায়।
৩৪। সঞ্চয়পত্র হারালে, চুরি হলে, পড়ে গেলে, নষ্ট হলে কি হবে ?
উঃ প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের পর “ডুপ্লিকেট” সঞ্চয়পত্র পাওয়া যাবে।
৩৫। সঞ্চয়পত্র লিয়েন করে বা জামানত রেখে ব্যাংক ঋণ নেয়া যায় কিনা ?
উঃ না, সঞ্চয়পত্র লিয়েন করে বা জামানত রেখে ব্যাংক ঋণ নেয়া যায় না।
৩৬। ক্রেতা (গণ)-এর ব্যাংক হিসাব নম্বর ও E-TIN নম্বর ব্যতীত সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা যাবে কি-না ?
উঃ না।
সঞ্চয়পত্র সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর
৩৭। ০১/০৭/২০১৯ তারিখের পূর্বে ক্রয়কৃত সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কি হারে উৎসে আয়কর কর্তন করা হবে ?
উঃ যখনই ক্রয় করা হোক না ক্রয়কৃত সকল প্রকার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা প্রদান কালে বিদ্যমান সরকারী নির্দেশনানযায়ী প্রযোজ্য হারে মুনাফা হতে উৎসে আয়কর কর্তন করা হবে।
৩৮। ওয়েব সাইট থেকে সঞ্চয়পত্রের ক্রয় ফরম Down-load করে তা সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে ব্যবহার করা যাবে কি-না ? উঃ হ্যাঁ, ব্যবহার করা যাবে ।
৩৯। ক্রয়সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ করা হলে করণীয় কি ?
উঃ Sanchayapatra Rules,1977(Amended upto 30 June,2002) অনুযায়ী কোনো বিনিয়োগকারী ক্রয়সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগের উপর কোনো মুনাফা পাবার অধিকারী হবেন না ; তাৎক্ষণিকভাবে ক্রেতা সীমাতিরিক্ত সঞ্চয়পত্র নগদায়নপূর্বক মূল অর্থ ফেরত নিতে বাধ্য থাকিবেন।
৪০। বিনিয়োগকারীর মনোনীত ব্যক্তি মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফা উত্তোলন করতে পারবেন কি-না ?
উঃ হ্যাঁ, পারবেন। বিনিয়োগকারী কর্তৃক Authorization Letter (মনোনীত ব্যক্তির স্বাক্ষর সত্যায়নপূর্বক) প্রদানপূর্বক মনোনীত ব্যক্তি মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফা উত্তোলন করতে পারবেন। তবে সঞ্চয়পত্রের আসল অর্থ কোনো ক্রমেই Authorization Letter-এর মাধ্যমে প্রদানযোগ্য নয়।
৪১। সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও আসল কিভাবে প্রদান করা হচ্ছে ?
উঃ সঞ্চয়পত্র বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল অফিস, তফসিলী ব্যাংকের সকল শাখা, জাতীয় সঞ্চয় ব্যরো ও ডাকঘর হতে ক্রয়কৃত সকল প্রকার সঞ্চয়পত্রের আসল(মেয়াদপূর্তিতে) ও মুনাফা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্রেতা /ক্রেতাগণ-এর ব্যাংক হিসাবে জমা করা হচ্ছে। মেয়াদপূর্তির পূর্বে ভাঙালেও আসল ও প্রাপ্য মুনাফা ক্রেতা/ক্রেতাগণ-এর ব্যাংক হিসাবে জমা করা হবে। ০১/০৭/২০১৯ তারিখ হতে প্রাপ্য কোনো প্রকার অর্থ (মুনাফা ও আসল) নগদে প্রদান করা হচ্ছে না।
বিভিন্ন প্রকার সঞ্চয়পত্রের ক্রয়সীমা নিম্নরূপ-
সঞ্চয়পত্র সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর
১) প্রচলিত সঞ্চয়পত্র সমূহের বর্তমানে (২৩/০৫/২০১৫ ইং থেকে) সুদ/মুনাফার হার নিম্নরূপ:
২) ১,০০,০০০/=(এক লক্ষ) টাকার উপর উৎসে কর কর্তনের পর অর্থাৎ নীট প্রাপ্য মাসিক ও ত্রৈমাসিক কিস্তি সুদ/মুনাফার পরিমাণ নিম্নরূপঃ-
সম্পাদনায়: মো: রাসেল মিয়া
পোস্টাল অপারেটর, নারায়ণগঞ্জ প্রধান ডাকঘর।