MCQ Tricks সবাই জানতে চায়। কেননা MCQ নিয়ে মোটামুটি সবাই ভয়ে থাকেন। MCQ ধরনের প্রতিযোগিতমূলক পরীক্ষাগুলোতে ভালো করতে না পেরে, অনেকেই হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছেন।

মেধাবী হয়েও চাকরির পরীক্ষার প্রথম ধাপ এমসিকিউ’র বৈতরনী পাড় হতে না পেরে নিজের পছন্দমত চাকরি পাননি এমন অনেক উদাহরণ আছে।

অনেকে বলেন যে এমসিকিউতে ভালো মার্কস আসে না। আবার যে সকল পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটা হয়, 

সে সকল পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীরা আরো ভয়াবহ অভিজ্ঞাতার মধ্য দিয়ে যান। এখন জানবো MCQ তে ভালো করার উপায়।

 

যে কোন পরীক্ষায় ভালো করতে হলে, অবশ্যই একটু কৌশলী হয়ে পড়তে হয়। সুতরাং MCQ এর জন্যও আপনাকে একটু টেকনিক্যালি পড়তে হবে।

 গুরুত্বপূর্ণ MCQ Tricks

যা পড়বেন অবশ্যই পুরোটা মন দিয়ে পড়ে নিবেন।পড়ার সময় যে তথ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে, 

অর্থ্যাৎ যে বিষয়গুলো থেকে এমসিকিউ হতে পারে, সেগুলো কলম/পেন্সিল দিয়ে দাগিয়ে রাখতে হবে। 

যে লাইন থেকে এমসিকিউ করার সম্ভাবনা থাকে।সেটা আপনি দেখলেই বুঝবেন।

 

রিটেন পরীক্ষার যে টপিকগুলো আছে সেখান থেকেও এমসিকিউ এর জন্য ইম্পরট্যান্ট তথ্যগুলো দাগিয়ে রাখতে হবে।

 ধরুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো দাগিয়ে দাগিয়ে আপনি পুরো অধ্যায়টি শেষ করে ফেলেছেন।

MCQ Tricks

এখন আপনার কাজ হচ্ছে যেগুলা কলম/পেন্সিল দিয়ে দাগাইছেন, সেগুলা ভালো করে আবার একনজর দেখে নেওয়া।

তারপর বাজারে পাওয়া যায় এমন যেকোন বই থেকে ওই অধ্যায়ের যত এমসিকিউ আছে ওই গুলা প্র‍্যাক্টিস করবেন।

 দেখবেন আপনি সব পারতেছেন।এক্ষেত্রে যেটা আপনার কাছে অপরিচিত ছিল, সেটাতো আপনি জেনেই যাচ্ছেন।

 বিগত সালের প্রশ্ন নিয়ে MCQ Tricks

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হচ্ছে বিগত বছরে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার MCQ অবশ্যই ব্যাখ্যাসহ সমাধান পড়ে নিতে হবে। 

অনেক সময় দেখা যায় বিগত বছরের প্রশ্নগুলো হুবুহু কমন পড়ে যায়।

আবার কখনো কখনো দেখা যায় বিগত বছরের প্র্রশ্নগুলোর সাথে রিলেটেড প্রশ্ন চলে আছে। 

তাই বিগত সালের প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যাসহ পড়ার কোন বিকল্প নাই।

 

মনে রাখবেন এমসিকিউ এমন একটা জিনিষ যেটার উত্তর দেওয়াই থাকে। এর থেকে সহজ কিছু আছে? 

আপনার উত্তর আপনারর চোখের সামনে। শুধু খুঁজে বের করা হচ্ছে আপনার কাজ।

প্রথমে এমসিকিউ যেটা পারবেন সাথে সাথে উত্তর করে ফেলবেন।যেগুলো পারবেন না, সেগুলো কলম দিয়ে দাগিয়ে রাখুন।

 কোন চিন্তা করবেন না। কমন যেগুলো, সেগুলো উত্তর করত থাকুন।

এখন আসুন যেগুলো পারতেছেন না! এখন উপায় কি? উপায় একটাই! আপনি এমসিকিউ এর প্রশ্নটা পড়েন।

 আর উত্তরগুলা বার বার দেখেন। মানে প্রশ্নটার সাথে উত্তর মিলানোর ট্রাই করো।

চারটা অপশন দেওয়া থাকে। মনে রাখবেন এই চারটার মধ্যেই আপনার উত্তর। 

আপনার কাজ হচ্ছে যেটা উত্তর হবে না, সেটা একটা একটা করে বাদ দিয়ে একটা সিলেক্ট করা। সেই একটাই উত্তর।

ধরেন প্রথমে চারটা অপশন থেকে একটা বাদ দিয়ে তিনিটা নিয়ে ভাববেন। তিনিটা থেকে একটা বাদ দিয়ে দুইটা নিয়ে ভাববেন। এরপর দুইটার মধ্যে একটা সিলেক্ট করবেন।

 

এটা করার পদ্ধতি হচ্ছে যদি আপনি আগের কৌশলগুলো অবলম্বন করে থাকেন। 

তবে পরীক্ষায় প্রদত্ত MCQ’র টপিকস নিয়ে নিশ্চই আপনার ধারনা আছে।

 এখন কাজ হচ্ছে ঠান্ডায় মাথায় বার বার ভাবা।  আপনার পড়া থাকলে উত্তরটা বের হয়ে আসবেই। জাস্ট প্রশ্নটা দেখবেন

 আর একটা অপশনের সাথে মিলাবেন। যেটা মিলবে না সাথে সাথে বাদ!এরপর আরেকটার সাথে মিলাবেন! আপনি দেখলেই বুঝতে পারবেন সেটা হবে কিনা!

যে পরীক্ষাতে ভুল উত্তরের  জন্য নম্বর কাটা হয়, সে পরীক্ষাতে উপরের কৌশলগুলো কাজে লাগিয়েও যে এমসিকিগুলো উত্তর বের করতে পারবেন না। সেগুলো কনফিউশন নিয়ে কোন উত্তর করবেন না।

তবে ভুল উত্তরের জন্য নম্বর না কাটলে, শেষে কনফিউজিং প্রশ্নগুলোও উত্তর করে আসবেন।

আশা করি কৌশলগুলো আপনার উপকারে আসবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top